স্টাফ রিপোর্টঃ নবীগঞ্জে জন্ম সনদ পরির্বতন করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পড়ানোর দায়ে আটক কাজী মাওলানা আব্দুল মালিক। সোমবার সন্ধ্যায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে উক্ত কাজীকে ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত কাজী মাওলানা আব্দুল মালিক উপজেলার দীঘলবাক ইউপির চরগাঁও গ্রামের মৃত মোঃ তোতা মিয়ার ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানাযায়, জগন্নাতপুর উপজেলার বিবিয়ানা শান্তিগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে একই গ্রামের জুবেল মিয়ার কিশোরী কন্যা সুরমা বেগমের বিয়ে কাবিন রেজিষ্ট্রারী করেন কাজী মাওলানা আব্দুল মালিক।
উক্ত বিয়ের জন্য বর ও কনে উভয়ের জন্ম সনদ জাল করা হয়। ৩ লক্ষ টাকা কাবিন করে উক্ত বিবাহ কার্যকম সম্পন্ন হয়।
সোমবার ৩ অক্টবর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ইনাতগঞ্জ বাজারস্থ কাজীর কার্যালয়ে গিয়ে রেজিষ্ট্রারী খাতা পর্যালোচনা করে কাজীকে আটক করে নিয়ে আসেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উক্ত কাজীকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর ৫ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সহযোগীতা করেন থানার এস আই পলাশ চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।